Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ তিস্তা ভাঙনে সুন্দরগঞ্জে ৪শ’ পরিবার সর্বস্বহারা

| প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনে ৪ শতাধিক পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিবারগুলো।
জানা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে তীব্্র ¯্রােত দেখা দিলে উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনের মূখে পড়ে। ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি জমি-জিরাত হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাধ ও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এ ছাড়া নদী ভাঙ্গনের মূখে পড়েছে শত-শত বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে ভাটি কাপাসিয়ার যুগির ভিটা, লালচামার, কাপাসিয়া, ভাটি বুড়াইল, উজান বুড়াইল, উজান বোচাগাড়ী, ছয় ঘড়িয়া, বেলকা নবাবগঞ্জ ও রাঘব। শুধু যুগির ভিটা এলাকায় তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। তিস্তা নদীর ভাঙ্গন নিয়ে স্থানিয় জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে তিস্তা পাড়ের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে ভাঙ্গন রোধের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে একাজ উদ্বোধন করা হবে এবং আগামীতে যাতে এক ইঞ্চি জমিও তিস্তা নদী গ্রাস করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সামিউল আমীন সাথে কথা হলে তিনি জানান নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান ইতোমধ্যে কিছু ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ